শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের ঘাসেরখিল গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সামির জেলার চাটখিল উপজেলার বাহার উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানায়, এক বছর আগে শিশু সামিরের মা মারা যান। এরপর তার বাবা প্রবাসী বাহার উদ্দিন পুনরায় বিয়ে করেন এবং বিদেশ চলে যান। বাহার উদ্দিন বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সামির ও তার বড় বোন তার নানাবাড়ী সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসেরখিল গ্রামের সৈয়দ ব্যাপারীবাড়ীতে মামাদের সঙ্গে থাকতো।
১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হঠাৎ মামাবাড়ী থেকে নিখোঁজ হয় সামির। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ২০ জানুয়ারি শনিবার সোনাইমুড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার মামা দোলোয়ার হোসেন রনি।
শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন তার নানাবাড়ীর পেছনের একটি ডোবার কচুরিপানার ভেতরে সামিরের মরদহ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মামা-মামীসহ কয়েকজন আত্মীয়কে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে ওই ডোবার মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় পানিতে ডুবে সামিরের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ