এ ঘটনায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল ও কম্বল বিতরণ করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৪৪টি ঝুট গুদাম পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ৬ সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সঞ্জিত কুমার দেবনাথ।
অন্যরা হলেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আল নাসীফ, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সেলিম রহমান ও পুলিশের পক্ষ থেকে একজনসহ ছয়জন। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কোনাবাড়ী এলাকায় একটি ফায়ার সার্ভিস ও একটি মেট্রোপলিটন থানা চালুর ব্যসস্থা করা হবে। এজন্য কোনাবাড়ী নতুনবাজার এলাকায় একটি স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কোনাবাড়ী পারিজাত এলাকায় প্রথমে একটি ঝুট গুদামে আগুন লাগে। পরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশে আরো ২৭টির মতো ঝুট গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, ইপিজেড ও ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কর্মীরা ১৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর পরের দিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আগুন নেভায়। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, এক ব্যবসায়ী একটি ঝুট গুদামে আগুন জ্বালিয়ে ঝুট কাপড় পরীক্ষার করছিল। এ সময় ওই গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই আগুন থেকে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
আরএস/এএটি