বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফসিআই ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ড্রিমস আনলিমিটেড ওই ৮ টন এসিড অবৈধভাবে বাংলাদেশে আমদানি করে। কিন্তু এসিড জাতীয় পণ্য ছাড়ের ক্ষেত্রে শর্ত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স, অনুমতিপত্র ও প্রত্যয়নপত্র না থাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসিড গুলো জব্দ করে।
বন্দর কাস্টমস জানায়, আটক করা ডাইওলেটেড হাইড্রোফ্লোরিক এসিড নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দফায় ওই পণ্য আমদানিকারকের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের চিঠি দেওয়া হয়। তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। তাই প্রায় দেড় মাস ধরে বন্দরেই পড়ে রয়েছে বিপজ্জনক এসিড।
বন্দর কাস্টমস আরও জানায়, গত ৮ এবং ১৮ জানুয়ারি বন্দর কাস্টমস আমদানিকারকের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে দুই দফায় চিঠি দেওয়ার পর তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পেরে বিল অব এন্ট্রি প্রত্যাহারের আবেদন করে।
বন্দর কাস্টমস সুপার জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভারত থেকে অবৈধভাবে ডাইওলেটেড হাইড্রোফ্লোরিক এসিড আমদানি করায় এসিড আটক করা হয়েছে। এসিড রাখার সুব্যবস্থা না থাকায় যে কোনো মুহূর্তে বন্দরে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান কাস্টমস সুপার জাকির।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
আরআইএস/