ঝর্ণা বেগম উপজেলার কলমির চর গ্রামের জীবন বেপারীর স্ত্রী।
শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৫ টার দিকে উপজেলার লাউখোলা এলাকার একটি ফসলের ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়ে গত ১ বছর আগে কলমির চর থেকে জাজিরা উপজেলার আড়াচন্ডি এলাকায় এসে বাড়ি করে মা ও দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করছিলেন ঝর্ণা। স্বামী জীবন বেপারী দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করছেন।
স্বামী কোনো খোঁজ-খবর না রাখায় ঝর্ণা বেগম লাউখোলা বাজারে একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে সংসার চালাতেন। মায়ের কাছে একটি ৩ বছরের ও একটি দেড় বছরের ছেলে রেখে প্রতিদিন সকালে কাজে যেতেন এবং সন্ধার পর বাড়ি ফিরতেন ঝর্ণা। শনিবার বিকেলে লাউখোলা আবাদি জমির মধ্যে ঝর্ণা বেগমের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ওই এলাকার থেকে ঝর্ণা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ওএইচ/