ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাঁচ গ্রামের জন্য একটি সেতু প্রয়োজন...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৮
পাঁচ গ্রামের জন্য একটি সেতু প্রয়োজন... সেতুর অভাবে থমকে আছে পাঁচ গ্রামের হাজারও মানুষের ভাগ্যের চাকা। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা সদরের ধলিয়া খালের উপর সংযোগ সেতুর অভাবে থমকে আছে পাঁচ গ্রামের হাজারও মানুষের ভাগ্যের চাকা। পৌর শহরের মধ্যে গ্রামগুলোর অবস্থান হলেও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। 

জানা যায়, মাটিরাঙা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বড়ঝালা, মোহাম্মদপুর, মিস্ত্রিপাড়া, আটবাড়িসহ পাঁচ গ্রামের সাত হাজার মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। উপজেলা সদরের ধলিয়া খালের উপর সংযোগ সেতু না থাকায় বর্ষাকালে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা।

 

এদিকে শুষ্ক মৌসুমে যাতায়াতের সুবিধার্থে গ্রামবাসীরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের উপর বালির বস্তা ও কাঠ দিয়ে তৈরি করছে অস্থায়ী সেতু। বর্ষা মৌসুমের ৪-৫ মাস ধলিয়া খালে পাহাড়ি স্রোত থাকায় নিয়মিত স্কুল-কলেজে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি অসুস্থ রোগীদের ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়াসহ এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানায় স্থানীয়রা।  

গ্রামবাসীরা বালির বস্তা ও কাঠ দিয়ে তৈরি করছে অস্থায়ী সেতু।  ছবি: বাংলানিউজবড়ঝলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মো. ফারুক খান বলেন, ধলিয়া খালের উপর সেতু না শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। নদীতে পানি বেশি থাকলে শিক্ষার্থীরা আর বিদ্যালয়ে আসেনা। একটি সেতু নির্মাণ হলে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। শিশুরা সহজে বিদ্যালয়ে আসতে পারতো।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল হাসেম বলেন, ধলিয়া খালে ১২ মাস পানি থাকে। বর্ষাকালে মানুষগুলোর যাতায়াত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। একটি সেতুর জন্য সররকারি বিভিন্ন দফতরে বার বার বলার পরও কোনো কাজ হয়নি।

গ্রামবাসীরা বালির বস্তা ও কাঠ দিয়ে তৈরি করছে অস্থায়ী সেতু।  ছবি: বাংলানিউজসংযোগ সেতুর অভাবে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাজারও গ্রামবাসীর দুঃখ দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ধলিয়া খালের উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রকৌশরী আনোয়ারুল হক বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সল্ট টেস্টসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ধলিয়া খালের উপর সংযোগ সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সল্ট টেস্টসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।