রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউজ) এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনসট্রাকশন ব্রিগ্রেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, বুয়েটের পরামর্শক দলের প্রধান প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজউকের প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিজাম উদ্দীন আহমদ, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরীসহ রাজউক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনীস প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সার্ভিস রোডের বর্তমান অবস্থানের কারণে পূর্বের তুলনায় বেশি মানুষ সুবিধা ভোগ করবে। এছাড়া ৩০০ ফুট রোডের উত্তর-দক্ষিণে রাজউকের ড্যাপের তিনটি প্রস্তাবিত রাস্তা আছে। ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে এ রাস্তা তিনটির বাস্তবায়নের কাজও এ প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এর জন্য আরডিপিপি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সবগুলো প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের ট্রাফিকের কোনো জট সৃষ্টি হবে না। রাজউকের ড্যাপের তিনটি প্রস্তাবিত রাস্তা বাস্তবায়নসহ পুরো প্রকল্পের খরচ ও সময় কিছুটা বাড়বে বলে তিনি জানান।
রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘খাল প্রজেক্টের ফলে ড্যাপের প্রস্তাবিত রাস্তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। এটি আমাদের একটি প্লাস পয়েন্ট। ড্যাপের রাস্তা বাস্তবায়িত হলে বিপুল জনগোষ্ঠী সুযোগ-সুবিধা পাবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ রায়হান কবীর বলেন, খাল খনন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে ১ হাজার ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৫০টি পরিবারের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ৬০০টি পরিবারের জমি নিয়ে মামলা আছে বিধায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা যায়নি এবং বাকি ৫০টি পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন নি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে খাল খননের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একটি মসজিদের নতুন করে নির্মাণের কাজ মাটি কেটে উদ্বোধন করেন রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
পিআর/আরআইএস