রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতে এ দাবি জানান।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের আইনগত বিষয় উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।
রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আসামিদের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন ও শামীম চৌধুরী আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তারা আদালতকে জানান, মামলার বাদি, তদন্তকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসক, জব্দ তালিকার সাক্ষীরাসহ কোনো সাক্ষীই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হননি। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক যে জবানবন্দি দিয়েছেন তা পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে দিতে বাধ্য করেছে।
এ দুই আইনজীবী এসময় আসামিদের বেকসুর খালাস দাবি করেন।
আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলো। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
তারা আদালতকে জানান, সাক্ষীরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার বাদি মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাক্ষী ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এ মামলায় চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ছোঁয়া পরিবহনের বাসে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। এসময় রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে হত্যা করেন বাস শ্রমিকরা। পরে মরদেহ মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। রূপা ঢাকার আইডিয়াল ল' কলেজের ছাত্রী।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮
এসআই