ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোলে ভারতীয় ইমিগ্রেশনে সময় ও কাউন্টার সুবিধা বাড়ছে

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮
বেনাপোলে ভারতীয় ইমিগ্রেশনে সময় ও কাউন্টার সুবিধা বাড়ছে ছবি-বাংলানিউজ

কলকাতা থেকে ফিরে: বেনাপোলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পার হতে ভ্রমণকারীদের অনেকটা যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়। এ অবস্থার উন্নতি ঘটাতে ১৫টি বুথ খুলে দিনে ১৫ হাজার যাত্রী সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

তবে যাত্রীরা বলছেন, শুধু কাউন্টার বাড়ানো নয়, ইমিগ্রেশনের পরপর যে টানা হেঁচড়ার মধ্যে পড়তে হয় তারও অবসান জরুরি।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা চলছে।

দু’দেশের দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও সম্প্রতি পরিদর্শন করে গেছেন। যাত্রীদের সুবিধা দিতে কাস্টমসের সময়সূচি দু’ঘণ্টার মতো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই দিল্লী থেকে আসবে বলেও জেনেছেন তারা। আর ইমিগ্রেশনে যে কাউন্টার আছে তা বাড়িয়ে ১৫টি করা হচ্ছে। যাতে দিনে ১৫ হাজার যাত্রী সামাল দেওয়া যায়। এখন দিনে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী গেলেই ত্রাহি অবস্থা দেখা দেয়।

 

এদিকে, গত ২ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল ভারতীয় ইমিগ্রেশন পার হয়ে কলকাতা গিয়ে ফের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার পথে যাত্রীদের নানা ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।

ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের সঙ্গে টাকা-ডলার চেকিংয়ের নামে এক ধরনের হয়রানির মুখে ফেলা হয়। পদে পদে টাকাও গুণতে হয় ভ্রমণকারীদের।

‘মাত্র ৫ মিনিটের কাজ শুধু ভারতীয় ইমিগ্রেশন একঘণ্টা লাগিয়েছে’-এমন অভিযোগ জানিয়ে আহসানুল হাবিব বলেন, এতো গেলো ইমিগ্রেশনের পাট। ওদিকে বের হওয়ার পর ডলার এক্সচেঞ্জ করতে দালাল এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। জোর করে পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে যায়।

এসব অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত এ পথে যাওয়া যাত্রীদের। তবে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সরাসরি বাসের ক্ষেত্রে। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-কলকাতা সরাসরি এন আর ট্রাভেলস (শ্যামলী) যাত্রা শুরু করেছে। এ বাসের যাত্রীদের একটু গুরুত্ব দিয়েই পার করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় ইমিগ্রেশনে সরাসরি বাসের যাত্রীদের আরও দ্রুত পার করে দিতে বাংলাদেশের বিআরটিসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন সংস্থা থেকে আবেদন করা হয়েছে। এতে ঢাকা থেকে সরাসরি কলকাতাগামী ও কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকাগামীদের সময় ও টাকা দুই-ই সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি একমাত্র বাস ‘এন আর ট্রাভেলস’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকেশ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগের চেয়ে যাত্রীদের বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। এ বিষয়ে দু’দেশের কর্মকর্তারা আন্তরিক।

বাংলাদেশ সময় ০৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮
এসএ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।