সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাঃস ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি ১৯৭৩ সালে খুলনা পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার আবু তাহের গাজী শহীদুল্লাহের ইন্তেকালের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাজী শহীদুল্লাহর জানাজা বাদ জোহর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর গিলেতলায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ভাষাসৈনিক গাজী শহীদুল্লাহ ১৯৩৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার গিলেতলা গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম গাজী শামসুর রহমান। গাজী শহীদুল্লাহ দৌলতপুর বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিএল কলেজে খুলনা জেলার প্রথম সুদৃশ্য ও বৃহৎ শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।
গাজী শহীদুল্লাহ ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিল এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ এ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে (খুলনার ডুমুরিয়া-ফুলতলা-তালা আসনে) ভাসানী ন্যাপের হয়ে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি ১৯৭৩ সালে খুলনা পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনার নির্মাণ করেন।
গাজী শহীদুল্লাহ ২০০১ সালের শেষ ভাগে খুলনা জেলা বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি খুলনা জেলা ভাষাসৈনিক সংসদের সভাপতি ও একুশের চেতনা পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এমআরএম/এএটি