সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজনের মধ্যে দুই পরীক্ষার্থী হলেন রাকিবুল হোসেন (১৬) ও মোস্তাফিজুর রহমান (১৬) এবং মোটরসাইকেলের চালক ও মোস্তাফিজের বাবা সেনা সদস্য আবদুল মোমিন (৩৫)।
রাকিবুল পুঠিয়া বাজার এলাকার কাবিল হোসেনের ছেলে। আর মোমিন-রাকিবুলদের বাড়ি পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিনের তেলিপাড়া গ্রামে। দুই পরীক্ষার্থীই পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
দুর্ঘটনা ঘটিয়েই ঘাতক বাসটি পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা ও বানেশ্বর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পুঠিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়। বর্তমানে তাদের মরদেহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, বানেশ্বর থেকে বেপরোয়া বাসটি নাটোরের দিকে যাচ্ছিল। পথে তারাপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটিতে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সকালে উপজেলার বানেশ্বর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন মোমিন।
বাসটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, এই ঘটনায় আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ ময়না-তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এই ব্যাপারে থানায় মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮/আপডেট ১২০৩ ঘণ্টা
এসএস/এইচএ/