সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন তিনি। সব মিলিয়ে সেখানে প্রায় ২৫ মিনিট অবস্থান করেন আঁলা বেরসে।
স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ জানান, সুইস প্রেসিডেন্ট প্রথমে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে নাগেশ্বর চাপা নামে একটি ফুলের চারা রোপণ করেন ও পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস জানিয়েছে, জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সোমবার দুপুরের পর তিনি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন বেরসে।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেরসে’র সফরে রোহিঙ্গা সংকট এবং দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরালো করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। আলোচনা হবে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে।
চারদিনের সরকারি সফরে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশে পৌঁছান আঁলা বেরসে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে লাল গালিচা অভ্যর্থনাও দেওয়া হয় সুইস প্রেসিডেন্টকে। এখান থেকে বেরসে যান তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল সোনারগাঁওয়ে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুইস প্রেসিডেন্ট কক্সবাজার গিয়ে পরিদর্শন করবেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের দুর্দশা সরেজমিনে দেখবেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
সফরকালে বেরসে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে সক্রিয় সুইস ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া তিনি যাবেন ঢাকা আর্ট সামিট পরিদর্শনেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
আরআর