ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলাটিপে হত্যা করা হয় ঝর্নাকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলাটিপে হত্যা করা হয় ঝর্নাকে

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই বন্ধু মিলে ঝর্না আক্তার (২৭) নামে এক নারীকে গলাটিপে হত্যা করেছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।

ঝর্না উপজেলার কাজিয়ারচর ভূঁইয়াকান্দি গ্রামের মৃত নুরু মুন্সীর মেয়ে।

সাত বছর আগে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানা এলাকার জীবন বেপারি নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে দুই সন্তানসহ ঝর্নাকে বাপের বাড়ি রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করছেন স্বামী জীবন। ঝর্না পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়ে উপজেলার আড়াচণ্ডি এলাকায় এসে ঘর তৈরি করে সেখানে মা আফিরন বেগম ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। লাউখোলা বাজারে সিরাজ খা'র ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে সংসার চালাতেন ঝর্না।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন জানান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব কামারগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নান মৃধার ছেলে বাবুল মৃধা (২০) এবং শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মানিকনগর শিমুলতলা গ্রামের কমল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৩) লাউখোলা বাজারে ইলিয়াছ মাদবরের কাঠের দোকানে বার্নিশ মিস্ত্রি ও কাঠের ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। এ সুবাধে ঝর্নার সঙ্গে সুমন ও বাবুলের পরিচয় হয়।

সুমনের সঙ্গে ঝর্নার মোবাইল ফোনে মাঝে মধ্যেই কথা হয়। একপর্যায়ে সুমন ও বাবুল ঝর্নাকে ধর্ষণ করার মনস্থির করেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝর্না দুই সন্তানকে মায়ের কাছে রেখে প্রতিদিনের মতো লাউখেলা বাজারে তার কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। পথে জব্বার সিকদারের ধনিয়া ক্ষেতে পৌঁছলে সুমন ও বাবুল ঝর্নার পথরোধ করেন। এসময় বাবুল ঝর্নাকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে বাবুল ঝর্নাকে মুখ চেপে ধরে ধনিয়া ক্ষেতের মধ্যে ফেলে দেন। এসময় চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ঝর্নার গলাটিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ গুম করার জন্য জব্বার সিকদারের ধনিয়া ক্ষেতে রেখে আসেন। বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয়রা মরদেহ ধনিয়া ক্ষেতের মধ্যে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল ৫টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন রাতেই লাউখোলা বাজার থেকে সুমন ও বাবুলসহ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে সুমন ও বাবুল হত্যার দায় স্বীকার করলে বাকী দু’জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ ঘটনায় ঝর্নার মা আফিরন বাদী হয়ে জাজিরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।