সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একথা বলেন সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির সাবেক এ মহাসচিব।
তার বক্তব্য শেষে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি শুনেছেন, তিনি তার বিবেক-বিচেনায় জাতির স্বার্থে যতটুকু করা প্রয়োজন অবশ্যই তিনি করবেন।
জিয়া উদ্দিন বাবলু বলেন, প্রশ্নফাঁস মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। গতকাল (রোববার) শিক্ষামন্ত্রণালয়ে বলা হয়েছিল যে প্রশ্নফাঁস ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে। অথচ আজ তুষার শুভ্র নামে একটি ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে ইংরেজি প্রশ্ন আছে, সংগ্রহ করতে হলে এতো টাকা লাগবে।
‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে, হচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই কয়েক বছরে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। কিন্তু আগামী প্রজন্মকে যদি সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত না করতে পারি তাহলে সব অর্থহীন ‘
তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে যদি সত্যিকার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারি, আর শুধু সনদ বিক্রির জন্য যদি শিক্ষিত করি, তাহলে তো কিছুই শিখবে না। এই শিক্ষা অর্থহীন। আমরা চাই সত্যিকারের শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী চান জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, আমরাও চাই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। আমরা আগামীতে কাদের হাতে দেশটা দিয়ে যাবো। শিক্ষিত সমাজ ছাড়া সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না।
এসময় বাবলু বলেন, কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আপনারা ঘুষ খান সহনীয় পর্যায়ে। তিনি এও বলেছেন আমিও ঘুষ খাই, অন্য মন্ত্রীরাও ঘুষ খান। এটা বলার পরে উনি মন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারেন? আর একজন মন্ত্রী একথা বলতে পারেন? এটা যখন ছাত্ররা শুনবে মন্ত্রী বলছেন সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খেতে, তাহলে প্রশ্নফাঁস ঠেকাবেন কীভাবে। ওনার উচিত ছিল সেদিনই পদত্যাগ করা।
প্রতি জেলায় মেডিকেল কলেজ, বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসএম/এএ