তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ফেরদৌসি বেগম ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আ. মান্নানের ছোট ভাই আ. হান্নানের স্ত্রী।
মান্নান জানান, বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেরদৌসি বেগমের হঠাৎ প্রসববেদনা ওঠলে ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করে ফেরদৌসি। সন্ধ্যা ৭টায় প্রসূতির শরীরে রক্তের প্রয়োজন হলে ‘এ’ পজেটিভ রক্ত পুশ করা হয়। তখন প্রসূতির শরীরে উদ্বেগ ও শ্বাস নিতে সমস্যা শুরু হয় এবং সমস্ত শরীর বিবর্ণ হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চিকিৎসক এসে রক্ত প্রথম দফা খুলে ফেলে দ্বিতীয় দফায় নার্স রক্ত পুশ করলে চিকিৎসক নার্সকে বকাঝকা করেন। ফেরদৌসির অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে ঢাকার ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করলে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে ফেরদৌসির মৃত্যু হয়।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘আমি যখন অপারেশন করে সাকসেস হয়েছি। তবে আমার ধারণা পুরাতন ব্লাডের প্যাকে নতুন সিল দিয়ে ডোনাররা দুই নম্বরি করেছে। এসব আমাদের বোঝার উপায় থাকে না। সম্ভবত ব্লাড রিয়াকশনে হয়েছে বিধায় আমি সঙ্গে সঙ্গে লাইফ সার্পোটে পাঠিয়েছি। ’
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজি সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত রির্পোট পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
ওএইচ/