মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ আদেশ দেন।
এতে সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আবদুর রশীদ।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শ্যামপুর পালিচড়া মাধবপুর এলাকায় জমি নিয়ে ছোট ভাই সেকেন্দারের সঙ্গে বড় ভাই খালেকের বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৪ সালের ৯ জুলাই ছোট ভাই জমিতে ধান রোপনের সময় বড় ভাই খালেক ও তার ছেলেসহ তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর পরদিন নিহত সেকেন্দারের ছেলে কামরুজ্জামান লাবু বাদী হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসের তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার ১৬ আসামির মধ্যে আবদুল খালেক, ভাতিজা মিটল ওরফে লিটন ও রাশেদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
অন্য সাত আসামি আজাদুল হক, আমিরুল হক, রায়হান, আবদুল কুদ্দুস, মঞ্জু মিয়া, মাহবুব ও কামরুল ইসলামকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ছয় আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
আরবি/