ওইদিন সকাল ১১টার দিকে প্রথমে পটুয়াখালীর পায়রা নদীর তীরে লেবুখালিতে শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সাত পদাতিক ডিভিশনসহ ১১টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনে অংশ নেবেন তিনি।
এছাড়া পটুয়াখালী জেলার ১৪টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে পটুয়াখালী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিস হাসপাতাল, মীর্জগঞ্জ উপজেলার দেউলী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, বাউফলের সাবুপাড়া গ্রামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) নবনির্মিত হোটেল ভবন, কাজী আবুল কাশেম স্টেডিয়াম, দশমিনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, পূর্ব ডালবুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, হোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার, বাউফলের ধানদী মডেল হাইস্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার, কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, গলাচিপা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিজিটাল পাবলিসিটি স্কিন, শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্সের (অডিটোরিয়াম) উদ্বোধন করা হবে।
এছাড়া পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন সম্প্রসারণ ও হল রুমের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলার ১৪টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, লেবুখালিতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পর্যাপ্ত পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। কোথাও কোনো অপ্রিতিকর পরিস্থিতি ঘটতে দেওয়া হবে না।
এদিকে লেবুখালিতে উদ্বোধনী কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতির জন্য সেনানিবাসে অবস্থান করবেন। পরে দুপুরে তিনি সেখান থেকে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএস/টিএ