ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিশ্চিত হয়েই জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ-নাম পরিবর্তন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮
নিশ্চিত হয়েই জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ-নাম পরিবর্তন

সংসদ ভবন থেকে: জাতীয় পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং এর তথ্য খুবই স্পর্শকাতর। জন্ম তারিখ বা নাম পরিবর্তন করে কিছু অসাধু ব্যক্তি অনৈতিক সুবিধা নিতে পারে। যেমন মামলা-মোকদ্দমা থেকে অব্যাহতি চাওয়া, জমি-জমার মালিকানা হস্তান্তর, চাকরিপ্রাপ্তি ইত্যাদি। 

উপযুক্ত প্রমাণাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে জন্ম তারিখ বা নাম পরিবর্তনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
 
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মো.আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।


 
মন্ত্রী জানান, এনআইডি সার্ভিস ইসলামী ফাউন্ডেশন ভবনে থাকাকালে জনবল স্বল্পতা, স্থান সংকটসহ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, নির্বাচন কমিশন যা শনাক্ত করে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল সংগ্রহ, কিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপন, আবেদন জমা গ্রহণ, কার্ড বিতরণ কাউন্টার স্থাপন, সম্মানিত প্রবাসী ও সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপন, আবেদনকারীদের বসার সুব্যবস্থাসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
 
তিনি জানান, কাউকে যাতে দূর-দূরান্ত থেকে কষ্ট করে ঢাকায় আসতে না হয় সেজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা ইতোমধ্যে উপজেলা/থানা পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে সব ধরনের আবেদন গ্রহণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়।  কোনো আবেদনকারীকে সেবা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস ছাড়া অন্য কোথাও এমনকি ঢাকার এনআইডি উইংয়ে আসার প্রয়োজন হচ্ছে না।
 
আইনমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও জানান, শুধু হারানো/নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের জরুরি সেবা ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে সরাসরি দেওয়া হয়। হারানো/নষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র জরুরি পেতে পূর্ব নির্ধারিত কাউন্টারে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হয়। বর্তমানে আবেদনকারীরা হারানো/সংশোধনের আবেদন জমা দেওয়ার পর ধাপে ধাপে তাদের প্রদত্ত মোবাইল ফোন নম্বরে আবেদনের অগ্রগতি জানানো হয়। সেজন্য কোনো কর্মকর্তার কাছে আবেদনকারীর সাহায্য-সহযোগিতা চাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
 
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, আগামীতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের পরিকল্পনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নেই।  

বেগম শিরিন নাঈমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৮ থেকে ২০১৬ মেয়াদে সারাদেশে ৯টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, ৫৪টি জেলা নির্বাচন অফিস, ৩৯৪টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ও ৯টি থানা নির্বাচন অফিস নির্মাণ ও কেনা হয়। ঢাকা মহানগরীতে জমির মূল্য বেশি হওয়ায় ৭টি থানা নির্বাচন অফিসের স্পেস কেনা হয়। এগুলো হলো- ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর, পল্লবী ও ক্যান্টনমেন্ট থানা নির্বাচন অফিস।
 
ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩-১০ মিটার নেমে গেছে
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।