ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মীমাংসিত বিষয় টিভিতে যত্ন নিয়ে সম্প্রচারের আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮
মীমাংসিত বিষয় টিভিতে যত্ন নিয়ে সম্প্রচারের আহ্বান অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মতো ঐতিহাসিক মীমাংসিত বিষয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে যত্ন সহকারে সম্প্রচারের জন্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধী-খুনি চক্র এবং দেশের উন্নয়ন ও সংবিধান বিরোধী অপশক্তিকে বর্জন করতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনারর্স (অ্যাটকো) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে একথা জানান মন্ত্রী।


 
প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অ্যাটকোর সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, দেশীয় টিভি চ্যানেল হিসেবে আপনাদের কাছে আহ্বান থাকবে আপনারা দেশপ্রেম পক্ষ নিয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে দেশজ সংষ্কৃতিকে লালন ও বিকাশ করবেন। দেশজ সংষ্কৃতি লালন ও বিকাশের ঐতিহাসিক দায়িত্বটা শুধু সরকারের একার নয়, এটি গণমাধ্যমের একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
 
‘আমরা বলেছি, দেশজ সংষ্কৃতি লালনের জন্য সংষ্কৃতির বিকৃতি প্রতিরোধ করার ব্যাপারটা আপনারা যত্ন সহকারে দেখবেন। একই সঙ্গে সঙ্গে বাঙালিয়ানার চর্চা উৎসাহিত করবেন এবং বাংলিশ নয়, বাংলা ভাষায় কথা বলবেন’।
 
দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়ের আগে এ বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু ঐতিহাসিক মীমাংসিত বিষয় রয়েছে। সে ঐতিহাসিক মীমাংসিত বিষয়টাকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রচারটা যত্ন সহকারে করা দরকার।
 
‘একটা বিষয় আমরা বর্জনের ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, চলমান যে উন্নয়ন হচ্ছে, আমাদের সংবিধানে যে চার নীতি আছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে, মীমাংসিত বিষয়গুলো রয়েছে; এর বিরুদ্ধে জঙ্গি-সন্ত্রাস, আগুন-সন্ত্রাস, অথবা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-খুনি চক্র, সাম্প্রদায়িক চক্র এবং ধর্মান্ধ চক্র, যে অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন বিরোধী, সংবিধান বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী; তাদের বর্জন করার জন্য সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। আশা করি তারা এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আরো সচেতন করবেন। যাতে বাংলাদেশ নির্বিঘ্নে শান্তির পথে, উন্নয়নের পথে, অসাম্প্রদায়িকতার পথে, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারি’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।