মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উত্থাপিত প্রতিবেদনে বিলটি পাসের সুপারিশ করা হয়।
গত ৯ জানুয়ারি ’প্রতিরক্ষা-বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্য সুবিধাদি) আইন-২০১৮’ নামে এ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাসের অপেক্ষায় থাকা ওই বিলে অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। বিধানে বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা বাধা আরোপিত না হইয়া থাকিলে অবসরপ্রাপ্ত কোনো বাহিনী প্রধান সাংবিধানিক কোনো পদে নিয়োগলাভের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন না। ’
বিলে বলা হয়েছে, ‘বাহিনী প্রধানের নিয়োগের মেয়াদ হবে একসঙ্গে বা বর্ধিতকরণসহ নিয়োগ প্রদানের তারিখ হতে অনূর্ধ্ব চার বছর। ’
এছাড়া বিলে প্রতি মাসে বাহিনী প্রধানের বেতন ৮৬ হাজার টাকা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাহিনী প্রধানদের পুনঃনিয়োগ প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে- ‘বাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত হওয়া বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করার পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো সামরিক বা বেসামরিক পদে পুনঃনিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন। এ বিষয়ে শর্ত উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি জনস্বার্থে আবশ্যক মনে করলে অবসরপ্রাপ্ত কোনো বাহিনী প্রধানকে চুক্তিভিত্তিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো বেসামরিক পদে নিয়োগ দান করতে পারবেন। ’
পাসের অপেক্ষায় থাকা বিলের খসড়াটির বিষয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর সশস্ত্র বিভাগ, অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ এবং কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফিন্যান্সের মতামত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আইন, বিধি, বিধান, নির্দেশনাবলী ও আদেশ সংশোধন/রহিতকরণ নতুনভাবে প্রণয়নপূর্বক যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশের জন্য গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির একাধিক সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসএম/এএ