‘মহানগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’ নামে ওই কলেজটির অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপন সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেছেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখানে লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ রিপন বলেন, রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে কলেজের স্কুল শাখার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের সঙ্গে তার মতানৈক্য তৈরি হয়। সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের হয়ে কাজ করায় ক্ষিপ্ত হয় ওই পক্ষটি। এরপর থেকেই ওই পক্ষটি তার ও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এজন্যই তারা স্কুল শাখার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে দাবি করে অধ্যক্ষ বলেন, ভাড়াটে লোক নিয়ে গিয়ে এ ইস্যুতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে এলাকাবাসীর নামে। তাতে অংশ নেয়নি ওই ছাত্রীর পরিবার ও এলাকার লোকজনও। অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। ওই বিক্ষোভের সূত্রে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তার এবং কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। ছাত্রীর পরিবারও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে।
বর্তমানে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ওই ছাত্রীর পরিবারকে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাপ দিচ্ছে। তারা ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই ছাত্রীর বাবাকে তুলে গিয়ে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করেছেন। মেয়ের চাকরি ও মোটা অর্থের প্রলোভন দিয়েছেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি মেয়ের বাবা। বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অবগত বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান রাজ, মকসেদ আলী, প্রভাষক হকসাদ আলী, ইন্সট্রাক্টর আহমেদ শরীফ, রায়হানুল ইসলাম, কম্পিউটার প্রদর্শক আলী হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসএস/আরবি/