৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে সর্বত্র চলছে এ তল্লাশি।
জাতীয়
থমথমে খুলনা
খুলনা: রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। মোড়ে মোড়ে র্যাব-পুলিশের টহল, তল্লাশি। চলছে গ্রেফতার অভিযান। বাদ যাচ্ছে না সন্দেহভাজনরা। এক ধরনের থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে খুলনাজুড়ে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বাসাবাড়িতে ব্যাপক তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়রানি করছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মহানগরীতে সব ধরনের (বৈধ) আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরীর প্রবেশের সবগুলো পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। বাড়ানো হয়েছে টহল। মার্কেট খুললেও দোকানপাট খুলেছে কম। পথচারী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তল্লাশির নামে ও অপরাধীদের ধরতে গিয়ে সাধারণদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এদিকে ৮ ফেব্রুয়ারির রায়কে সামনে রেখে আগাম কোন কর্মসূচি নেই খুলনা বিএনপির। অনূরূপভারে ওইদিন কোনো কর্মসূচি রাখেনি আওয়ামী লীগও।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। খুলনার ১৬টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রবেশমুখে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ শ’ থেকে ১৫ শ’ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জন বিএনপি নেতাকর্মী ও ১ জামায়াত নেতাকে আটক করেছে।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে।
অগণতান্ত্রিক পন্থায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। ভীত এই সরকার পুলিশ দিয়ে ধড়পাকড়ের নামে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। গ্রেফতার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমআরএম/এএটি