কি হবে ৮ ফেব্রুয়ারিতে? এ প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারিং করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীররাতে পোস্টারগুলো দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে। ফলে বর্তমানে ‘এতিমের টাকা আত্মসাতকারী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’ পোস্টারে রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ছেয়ে গেছে।
বিএনপিরপন্থি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ক্ষমতায় থাকলেও খোদ নগর ভবনের সীমানা প্রাচীরেও রয়েছে খালেদা জিয়া বিরোধী এই পোস্টার।
এছাড়া সকালে মহানগরীর সাহেব বাজার, গণকপাড়া, গ্রেটার রোড, উপশহর, শালবাগান, সিএনবির মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সংযোগ সড়কে এসব পোস্টার দেখা গেছে।
মহানগরীর গ্রেটার রোড এলাকার আব্বাস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গতকালও এসব পোস্টার ছিলোনা। সকালে তারা বাইরে এসে এসব পোস্টার দেখতে পান। তাই কারা পোস্টারিং করেছে কিছু জানা নেই। একই কথা বলেন, দড়িখরবোনা মোড়ের তুহিন শেখ। তিনি বলেন, নগর ভবনের দেয়ালে সকাল থেকে তারা খালেদা জিয়ার রায়ের শাস্তির দাবি সংক্রান্ত পোস্টার দেখেন। হয়তো রাতের কোনো এক সময় এখানে কেউ পোস্টার সাঁটিয়ে গেছেন। সকাল থেকে তারা তা দেখতে পারছেন।
এদিকে পোস্টারে বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এতে খালেদা জিয়ার অনিয়ম দুর্নীতির কিছু চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া অর্থ গ্রহণ, একাউন্ট বিষয়ক তথ্য, এতিম তহবিলের অনিয়ম, মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও এতিমখানার অস্তিত্ব নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রচ্ছ্বদে খালেদা জিয়ার রঙ্গ কার্টুনও ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যাতে করে সাধারণ মানুষ এসব অনিয়মের বিষয়টি জানতে পারে সেজন্য এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে যে দুর্নীতি হয়েছে-তা সাধারণ জনগণকে জানানোর লক্ষ্যে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ পোস্টারিং করা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, পোস্টারিংয়ের বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে বৃহস্পতিবারের রায়কে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এরই মধ্যে মহানগরীর প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও জানান মহানগর পুলিশের এই মুখপাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসএস/এএটি