বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে দেখতে যান ব্রিগেডিয়ার কে এম মাহবুবুল হক।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন-সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, কোষাধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার ফয়ছল আহমেদ বাবলু ও পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী সাদেক আহমদ।
এ সময় তারা আবু বকরের শয্যাপাশে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। চিকিৎসায় যাতে কোনো ধরনের গাফিলতি না হয়-এজন্য চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেন হাসপাতাল পরিচালক।
এর আগে মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে আবু বকরকে দেখতে হাসপাতালে যান সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক আজমল বখত সাদেক। এ সময় বিএনপির নেতারা আবু বকরের শয্যাপাশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং তার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর নেন।
এইদিন দুপুর ১টায় আহত আবু বকরকে দেখতে যান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খোন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এবং বেলা ১১টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা সামসুদ্দিন দিদার মোবাইল ফোনে বকরের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। এ ঘটনায় তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, চিকিৎসার খোঁজ নেওয়ার জন্য স্থানীয় নেতাদের বলেছেন।
সোমবার (০৫ জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার গাড়িবহর সিলেট সার্কিট হাউসে প্রবেশকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন সিলেটে বাংলানিউজের স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট আবু বকর। এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ির একটি চাকা উঠে যায় বকরের ডান পায়ের উপর। এতে বকরের পায়ের গোঁড়ালির হাড় ভেঙে যায়।
তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রাতেই তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। আবু বকর ওই হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এনইউ/ওএইচ/