আউশ ধানে সরকারের প্রণোদনা ঘোষণা করতে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নেরিকা আউশে পানির খরচ কম, উফশীতে বেশি। নেরিকার শিকড় গভীরে যায়।
মন্ত্রী বলেন, আমি জাতীয় সংসদেও বলেছি, বোরোতে এক কেজি চাল উৎপাদনের জন্য তিন হাজার ২০০ লিটার পানি লাগে। সেজন্য গ্রাউন্ড ওয়াটার মাইনিং করতে হয় বা নদী-নালা থেকে পানি উঠিয়ে সেচের কাজে লাগানো হয়।
‘সংসদে এলজিআরডি মিনিস্টার বলছেন প্রতিবছর ভূ-গর্ভস্থ পানি ৩-৮ মিটার নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। আউশের সময় বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। আমরা যদি ওই জায়গাটাতে আসতে পারি, যেটা আদিকালে ছিল। আমরা উফশীর কারণে ওদিকে গেলাম না। এক পর্যায়ে গিয়ে যেমন বিজনেসেও কাউন্টার প্রোডাক্টিভ ইফেক্ট হয়, তেমনি ফসলের বেলাও আমরা প্রাচীন পন্থাতে থাকবো। কিন্তু জাতগুলো ওইভাবে (উন্নত) নিয়ে আসতে চাই। ’
মতিয়া বলেন, দেখলাম ক্যালিফোর্নিয়াতে একটা শহরে পানির ক্রাইসিস এমন যে কাপড় ধুয়ে পানি তারা ফেলে না, ওই পানি পরিশোধন করে আবার। অন্য দেশের উদাহরণ দেখে আমরা আগেই সচেতন হয়ে আউশের পদক্ষেপ নিয়েছি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ বলেন, এবছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ মেট্রিকটন। সব ঠিকঠাক না থাকলে আশা করি এটা অর্জন করতে পারবো।
আউশ চাষে কৃষকদের ৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রণোদনা
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ