বিশৃঙ্খলা এড়াতে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ২৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশি চৌকি, জোরদার করা হয়েছে টহল, প্রায় প্রতিরাতেই চলছে পুলিশের চিরুনি অভিযান।
সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র জেলা আওয়ামী লীগ ও এরঅঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে রায়ে খালেদা জিয়ার শাস্তি হলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর স্বেচ্ছায় কারাবরণ ও মিছিল-মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতে রায় পরবর্তী ‘বিশৃঙ্খলা’ রোধে কক্সবাজার জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। নাশকতা এড়াতে এখন পর্যন্ত বিএনপি ২২ ও জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে জনমনে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘রায় কি হবে তা আমরা কেউ জানি না। আদালতের রায়তো আগে জানার সুযোগ নেই। কিন্তু সরকার এ রায়কে কেন্দ্র করে ধরপাকড় শুরু করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারছে না। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। এটা সরকারের বিষয়, প্রশাসনই দেখবে। তারপরও কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাহলে নাগরিক হিসেবে তা আমরা প্রতিহত করবো। ’
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে ‘বিশৃঙ্খলা’ রোধে প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি। ’
তিনি আরো বলেন, পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেনি। তাদের বাসায় অভিযান চালায়নি। তবে অতীতে নাশকতা করেছে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি নাশকতা চালাতে এমন অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
টিটি/ওএইচ/