বুধবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নারী অভিবাসী কর্মীর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক কৌশল নির্ধারণে মাল্টি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।
সেন্টার অন ইন্ট্রিগেটেড রুরাল ডেভলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (সিরডাপ) আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, মালদ্বীপে শুধু পর্যটনকেন্দ্রিক শ্রমবাজার না, সেখানে কলকারখানাও আছে। আমি সেখানে গিয়েছি। বাংলাদেশিরা অনেকেই সেসব কল কারখানায় চাকরি করে এবং তারা সেখানে অনেক ভালো আছে। মালদ্বীপের স্থানীয় মানুষজনও বলেছে বাংলাদেশের মত শ্রমিক অন্য কোনও দেশে নাই। সুতরাং তাদের ওপর কোনও রকম আঘাতও হবেনা, তারা সেখানে ভালো থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নারী শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ এখন শূন্য। অভিবাসনে তাদের কোনও খরচ নাই।
এর আগে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭ লাখ নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৭ সালেই ১ লাখ ২১ হাজার ৯২৫ জন দক্ষ ও আধা দক্ষ নারী কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। বিদেশে কর্মরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রম, ত্যাগ ও পাঠানো রেমিটেন্স এ দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছে।
নির্যাতিত অভিবাসী নারীদের জন্য সেফ হোমের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিয়োগকর্তা দ্বারা নারী কর্মী নির্যাতনের শিকার হলে দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। উদ্ধারকৃতদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সৌদি আরবের রিয়াদে ১টি, জেদ্দায় ২টি এবং ওমানে ১টি সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব সেফ হোমে তাদের খাবার, চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ এবং দেশে পাঠানোর লক্ষ্যে টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, প্রবাস কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারসহ অভিবাসন খাতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএএম/এসএইচ