ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাতে হবে যবিপ্রবি’র তৃতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

যশোর: আগামী প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে এবং সকল স্তরে নেতৃত্বদানে সক্ষম ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, পরমত সহিষ্ণুতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, অভিভাবক, ছাত্র সংগঠনসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে অবদান রাখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান কেন্দ্র নয়, সেখানে মুক্তচিন্তা, সমকালীন ভাবনা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নবতর অভিযাত্রাসহ সংস্কৃতি চর্চা, সৃজনশীল কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জানার পরিধিকে যেমন বিস্তৃত করে তেমনি তাদের পরিণত করে বিশ্ব নাগরিক, যোগ করেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তৃতীয় সমাবর্তনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, শোষণমুক্ত একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণই ছিলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত করা হয়েছে।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। তোমাদের তারুণ্য, জ্ঞান, মেধা ও প্রজ্ঞা হবে দেশের উন্নয়নে প্রধান চালিকাশক্তি। দেশ ও জনগণের কাছে তোমাদের আছে ঋণ। একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে সেই ঋণ তোমাদের পরিশোধ করা উচিত। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারী একজন গ্রাজুয়েট হিসেবে সবসময় সত্য ও ন্যায়কে সমুন্নত রাখবে। দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে।  

রাষ্ট্রপতি ও যবিপ্রবি আচার্য আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রবার্ট হিউবার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

সমাবর্তনে ৫৭০ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে, পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখার জন্য সমাবর্তনে আটজন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
ইউজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।