বিএনপির সহিংসতার রাজনীতির অতীত ইতিহাস এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে নগরবাসীর মনে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। কাল কী হবে? প্রশ্ন জনসাধারণের মুখে মুখে।
এ অবস্থায় বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়তে দেখা গেছে। শহরের ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, আসাদগেটসহ আশপাশের এলাকায় নিয়মিত গাড়ির জটলা দেখা যায়নি।
ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি গণপরিবহনও হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় ঘরে ফেরা মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। ফার্মগেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাসে উঠতে পারছেন না অনেকেই। যে অল্পসংখ্যক বাস আসছে সেগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়। ফলে বাধ্য হয়ে অনেককেই পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা গেছে।
ফার্মগেট থেকে মিরপুরগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শাহদাৎ। তিনি বলেন, প্রায় আধাঘণ্টার উপরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, বাসই নেই। যে কয়েকটা আসছে সেগুলোতে ঝুলে যাওয়ারও উপায় নেই।
খামারবাড়ি এলাকায় দেখা যায় এক রিকশা চালক রসিকতা করে হাঁকডাক দিচ্ছেন- গাড়ি নাই! কই যাইবেন, আসেন।
রতন মিয়া নামে ওই রিকশা চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাইল খালেদা জিয়ার রায়, দেখেন না রাস্তায় গাড়ি নাই। অনেক গাড়ি বন্ধ হইয়া গেছে। এহন তো দুই-একটা চলে, একটু পরে আরো কইমা যাইব। ’
গণপরিবহনের সংকটের সুযোগে ফার্মগেট এলাকায় রিকশা চালকদেরও বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
এদিকে, বুধবার বিকেলে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না, ভীত হবেন না। স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখুন। আইন-শৃঙ্খলা এবং জননিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
পিএম/এমজেএফ