ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দীর্ঘদিন পর সুনসান প্রেসক্লাব এলাকা

সুকুমার সরকার, সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
দীর্ঘদিন পর সুনসান প্রেসক্লাব এলাকা প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা (ফাইল ছবি)

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল প্রবেশ মুখের দুই পাশ এখন সুনসান। সন্ধ্যার সময় চলে গিয়েছেন আন্দোলনরত তিন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য স্থানটি অনেকটা স্থায়ী আবাসস্থল হয়ে উঠেছিলো আন্দোলনকারীদের।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।  

বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকাসহ সবখানে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রবেশমুখে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ঘিরে গুপ্ত নাশকতা এড়াতে আন্দোলনকারীরাও পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আপাতত সরে দাঁড়িয়েছেন।

সারাদেশের বেসরকারি স্কুলের মাধ্যমিক শিক্ষকরা পক্ষকাল ধরে আমরণ অনশন করে দাবি আদায় করে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে যান।

শিক্ষকদের ফিরে যাওয়ার পরদিনই মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) একইস্থানে আসন নিয়েছে তিনটি সংগঠন-  ৩য় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’, ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন’ এবং বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৩৫ বছর করার দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’।

এ তিন সংগঠন নিজ নিজ দাবিতে অটল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রবেশ মুখের দুই পাশের রাস্তায় অনশনে বসে। জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল গেটের ডানপাশের সর্ব পশ্চিমে ছিল ৩য় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’। তাদের পাশে চাকরির বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৩৫ বছর করার দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ’ এবং প্রেসক্লাবের প্রবেশমুখের বামপাশে ‘বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন’।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বর্তমান শাসকদল আওযামী লীগ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেছিল। সেই আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা হতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গড়ে ওঠা ‘জনতার মঞ্চ’ থেকে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কয়েকমাস ধরে চলা দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টার ওই আন্দোলনের ফসল তুলে নিয়ে ঘরে ফেরে আওয়ামী লীগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একই বছর নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে সরকারও গঠন করে আওয়ামী লীগ।

সেই থেকে সব আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রবেশ মুখের দুই পাশের প্রশস্ত সড়কটি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।