রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রাশিয়া মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করেও রাশিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালের মার্চে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল এসব দেশে সফর করে বাণিজ্য ও কূটনীতির প্রসারে যাবে। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রস্তুত নিতে বলা হয়েছে।
দেশগুলোর মধ্যে শুধু উজবেকিস্তানেই বাংলাদেশের দূতাবাস আছে। সেখান থেকেই বাকি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা হয়।
আরেক কর্মকর্তা জানান, তিনটি প্রধান কারণে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে নেই রাশিয়া। মিয়ানমার সামরিক সরঞ্জামের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করছে। এরমধ্যে সবার ওপরে রয়েছে রাশিয়া। মিয়ানমার সামরিক ও বেসামরিক শতাধিক বিমান কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
অন্যদিকে বিমানবাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাশিয়া মিয়ানমারের বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনে ‘মিগ’ কোম্পানির অফিস খুলেছে। মিয়ানমারের ৭০০ সৈনিক প্রতি বছর রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে রুশ ভাষায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর যাবতীয় খরচ বহন করে মিয়ানমার।
শুধু তাই নয়, ২০১৩ সালে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর আওতায় দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির চুক্তি হয়েছে দেশ দুটির মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া মিয়ানমারের বিপক্ষে যেতে পারছে না। খুব শিগগিরই পারবে বলেও মনে হয় না। তাই বাংলাদেশ নতুন বন্ধুর খোঁজ করে রোহিঙ্গা সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। কারণ, বাংলাদেশের ‘থিংক ট্যাংক’ মনে করছে রাশিয়াকে সম্পৃক্ত করা গেলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সহজতর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
কেজেড/এমজেএফ