বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া অরফানেন্স ট্রাস্টের মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রায়কে ঘিরে কয়েকদিনের উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক হুমকি-ধামকির কারণে নগরীতে চলাচলকারী মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মূল সড়ক পাশাপাশি অলি-গলিসহ মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দেখা যায়।
লালবাগ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের চলাচল একবারেই কম। কোনো দোকানপাট খোলেনি। সড়ক ও গলিতে পুলিশের টহল। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরপর টহল দিচ্ছে র্যাব। এদিকে, যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।
লালবাগ অরফানেজ রোডে কথা হয় চাকরিজীবী শরীফের সঙ্গে। তিনি বলেন, মামলার রায় যাই হোক সবার মেনে নেওয়া উচিত। কারণ, আইন সবার জন্য সমান। খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনার জন্য আইন আলাদা না। রায় নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা উচিত হবে না। আমরা সাধারণ জনগণ শান্তি চাই, আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
২০১৪ সালে এমন আতঙ্ক সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি রাজধানীতে বলে জানালেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হারুণ।
তিনি বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশে যে গণ্ডগোল হয়েছিল তখন এমন পরিস্থিতি ছিল। গতকাল থেকে আমার মধ্যে অনেক উদ্বেগ কাজ করছে। আজকে বের হলাম রাস্তায় লোক নেই, গাড়ি-ঘোড়া নেই –এ কেমন আতঙ্কের পরিবেশ।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য আতিক বলেন, আমরা প্রস্তুত সব ধরনের নাশকতা মোকাবেলার জন্য। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ।
এদিকে, একটু পর-পর পুলিশ সদস্যরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এলাকার পরিস্থিতি মোবাইল ফোনে জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমসি/আরআইএস/