রায়কে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাজ সাজ রব। বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই খুলনার রাজপথ অনেকটা ফাঁকা।
নানা আশঙ্কায় শহরের বেশির ভাগ স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়েদের পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, মহানগরী অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ। দু’একটি ফুটপাতের চা ও মুদি দোকান খোলা দেখা গেছে। প্রবেশের সবগুলো পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তল্লশিচৌকি। নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। বাড়ানো হয়েছে টহল। মহানগর বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। খুলনা থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। শহরে গণপরিবহনও চলছে তুলনামূলক কম।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মনিরা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, খুলনার গুরুত্বপূর্ণ ৩৬টি পয়েন্টে তল্লাশির জন্য নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। মহানগরীতে ২৪টি মোবাইল টহল টিম কাজ করছে। বাড়ানো হয়েছে র্যারের টহল।
যেকোনো সময় বিজিবি নামার কথা রয়েছে বলেও জানান মনিরা সলতানা।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৬শ’সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/