ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কোনো নাশকতা দেখতে চায় না জনগণ

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
কোনো নাশকতা দেখতে চায় না জনগণ ফয়েজ মিয়ার পুরনো পেপারের দোকান। ছবি: মানসুরা চামেলী

ঢাকা: ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে কোনো নাশকতা-নৈরাজ্য দেখতে চায় না দেশের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করে, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে মামলার রায় মেনে নেওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি মামলাটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে এ অভিমত প্রকাশ করেন রাজধানীর বাসিন্দারা।  

লালবাগ এতিমখানা রোডের সামনে দাঁড়িয়ে চাকরিজীবী শরীফ বলেন, মামলার যে রায়ই হোক, তা সবার মেনে নেওয়া উচিত।

কারণ, আইন সবার জন্য সমান। (বিএনপি প্রধান) খালেদা জিয়া কিংবা (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার জন্য আইন আলাদা হতে পারে না। রায় নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা করা উচিত হবে না। আমরা সাধারণ জনগণ শান্তি ও নিরাপত্তা চাই।

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা আলিমুর রহমান বলেন, মামলার রায় যা-ই হোক, বিএনপির তা মেনে নেওয়া উচিত। রায়কে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে কষ্ট দেওয়া উচিত হবে না।  

এ রায়কে ঘিরে লালবাগ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তামূলক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আজিমপুর, ঢাকেশ্বরী, বকশীবাজার এলাকায় কিছুক্ষণ পরপর র‌্যাবের টহল দিতে দেখা যায়। এসব এলাকার বেশিরভাগ দোকান যেখানে ভোর ৬টার দিকেই খুলে যায়, সেখানে সকাল ৯টায়ও এসব এলাকার কোনো দোকান খুলতে দেখা যায় নি।  

কর্মদিবস হওয়া সত্ত্বেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আজিমপুর হয়ে লালবাগ বকশীবাজারে যে গণপরিবহনগুলো চলাচল করে, সেগুলোর একটিও সড়কে দেখা যায়নি।

পুরনো পেপারের দোকান ফয়েজ মিয়ার। দোকানের শাটার অল্প একটু খুলে বসে আছেন তিনি। আতঙ্কে শাটার পুরোপুরি খোলার সাহস পাচ্ছেন না ফয়েজ।  

তার মতে, অন্যায় করলে অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আন্দোলনের পেছনে কোনো যুক্তি দেখেন না তিনি? 

তিনি বলেন, ‘আমগো জন্য যদি আইন হয়, তাইলে হাসিনা-খালেদা সবার জন্যও আইন থাকা চাই। আমরা দিন আনি দিন খাই। আন্দোলন কইরা আমগো ভাত মাইরা কী লাভ’?

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমসি/এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।