ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনা সেনানিবাসের উদ্বোধন

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
শেখ হাসিনা সেনানিবাসের উদ্বোধন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল থেকে: বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় নবনির্মিত দেশের ৩১তম ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাসে’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালীর লেবুখালী অংশ থেকে সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সেনাবাহিনীর ৯টি ডিভিশনের আওতায় দেশে ৩০টি সেনানিবাস থাকলেও এতদিন দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় কোনো সেনানিবাস ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলায় বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হতো।


 
জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাসহ দক্ষিণ উপকূলের ৬ জেলার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মেকাবেলায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার দেড় হাজার একর এলাকায় আনুষ্ঠানিক সূচনা হল ১৭ হাজার জনবলের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সেনানিবাস।  

আরও পড়ুন>>
** 
শেখ হাসিনা সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী

সরকার পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া তিন হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে পায়রায়। চলছে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজও।

একই সঙ্গে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে সরকারের নেওয়া এসব মেগা প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনানিবাসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
 
একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলা বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা উপকূলবর্তী জনপদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা সহজ হবে।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টার সময় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে সেনানিবাসের বরিশাল অংশের বাকেরগঞ্জ পৌঁছান। পরে পটুয়াখালীর লেবুখালী অংশে যান এবং রাষ্ট্রীয় অভিবাদন গ্রহণ করেন।  

সেনানিবাসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আলম।

প্রধানমন্ত্রী নতুন এ সেনানিবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হল, এসএম ব্যারাক, অফিস ভবনসহ ১৫টি স্থাপনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

একই স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালী জেলার ১৪টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।  

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পরে বিকেল ৩টায় বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। জনসভা মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী ৩৯টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ৩৩টি কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।

এ সময় তিনি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিক হাসপাতাল, মির্জাগঞ্জের দেউলী ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, বাউফল উপজেলার সাবুপুরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, পটুয়াখালীর সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) নব নির্মিত হোস্টেল ভবন, কাজী আবুল কাশেম স্টেডিয়াম, দশমিনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম সাইক্লোন সেন্টার, কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব ডালবুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম সাইক্লোন সেন্টার, বাউফল উপজেলার হোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম সাইক্লোন সেন্টার, বাউফল উপজেলার ধানদি মডেল হাইস্কুল-কাম সাইক্লোন সেন্টার, কলাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, গলাচিপা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিজিটাল পাবলিসিটি স্ক্রিন, শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্সের (অডিটোরিয়াম) উদ্বোধন এবং গলাচিপা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন সম্প্রসারণ ও হল রুমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এরপর সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে করে বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে (জেলা স্টেডিয়াম) যাবেন তিনি। সেখান থেকে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮/আপডেট: 
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।