গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সোহেল রানার বাড়িতে নলকূপ স্থাপন শেষে পাইপের গোঁড়া বাঁধানোর সময় বুদবুদ আকারে ধোঁয়া আকৃতির গ্যাস উঠতে দেখেন টিউবওয়েল স্থাপন কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রিরা। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে সেখানে দিয়াশলাই ঠুকে দিতেই আগুন জ্বলে ওঠে।
নলকূপের মালিক নলডাঙ্গা গ্রামের সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, পাইপের মাথায় টিউবওয়েল বসালেও গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে পানি তোলা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে পাইপের গোড়ায় একটি সরু পাইপ বসিয়ে দিয়ে গ্যাসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে।
নলকূপ স্থাপনের মিস্ত্রি হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নলকূপ স্থাপনের উদ্দেশ্যে সেখানে ১শ ৭০ ফুট পাইপ বসানো হয়েছে। এরপর থেকেই গ্যাসের সন্ধান। এই গ্যাসে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ।
এদিকে গ্যাস ওঠার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন, আবার কেউ কেউ আগুন নিভিয়ে পুনরায় তা জ্বালিয়ে দেখছেন। এছাড়াও বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা শখের বশে চুলা বানিয়ে গ্যাস দিয়ে খেজুর রস জ্বালানোসহ রান্নাও করছেন।
চূড়ামনকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না বাংলানিউজকে বলেন, লোকমুখে ঘটনাটি জানতে পেরে নিজেও দেখতে গিয়েছিলাম। আমার দাবি, দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নিক।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ডু বাংলানিউজকে বলেন, আমিসহ তিন সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করছি, ওই স্থানে মাটির তলদেশে গ্যাসের মজুদ থাকতে পারে। তবে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এটা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ওই বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীকে সতর্কতা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো বিশেষজ্ঞ দল না আসা পর্যন্ত নলকূপটি ওই অবস্থায় থাকবে। কেননা এখন নলকূপটি সরাতে গেলে অতিমাত্রায় আগুন জ্বলে সেটির বিস্ফোরণও হতে পারে। নলকূপটি ব্যবহার না করতেও বলা হয়েছে।
যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, নলডাঙ্গায় গ্যাসের সন্ধান মিলেছে এমন খবর লোকমুখে শুনেছেন। এ ব্যাপারে তিনি সরেজমিনেপরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
ইউজি/এএ