রানীগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বড়জুষ, কালিকাপুর, আতিকপুর, রাজাকোণা, শাহপুর, বরমচর, নাসিমাবাদ চা বাগান ও পারকুল চা বাগানের মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে করাঙ্গী নদীর উপরে একটি ব্রিজের অভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছিলেন।
বিভিন্ন সময়ে একটি ব্রিজের দাবিতে একাধিক জনপ্রতিনিধির ধারস্থ হয়েও মেলেনি কোনো ফল।
অবশেষে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যরিস্টার সায়েদুল হক সুমনের নজরে আসে বিষয়টি। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে সাত গ্রামের লোকজনের সমন্বয়ে নির্মাণ করে দিয়েছেন কাঠের সেতু। আর এর মধ্য দিয়েই নিরসন হলো প্রায় ৩০ হাজার লোকজনের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই লোকজন সেতুটি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।
উত্তর বড়জুষ গ্রামের রমজান আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, চা বাগান অধ্যুষিত এলাকাগুলো এমনিতেই অনেক অবহেলিত। আশপাশে নেই স্কুল-কলেজ। এলাকার ছেলে-মেয়েদের অনেক কষ্ট করে দূরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখা করতে হয়। তার পর নদীটিতে কোনো ব্রিজ বা কালভার্ট না থাকায় দুভোগের অন্ত ছিল না। স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠ দিয়ে তৈরি সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর জন্য অনেক উপকার হয়েছে।
একই এলাকার আব্দুল কাদির মাস্টার জানান, বিভিন্ন সময়ে আমরা একাধিক জনপ্রতিনিধির কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য গেলেও কেউ কর্ণপাত করেননি। দীর্ঘদিন পর এই একজন মানুষ এগিয়ে এলেন জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে। এজন্য তিনি ব্যরিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
চুনারুঘাটের সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজু বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কাঠ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে রাতেই শেষ হয়। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই লোকজন সেতুটি ব্যবহার করছেন।
এ ব্যাপারে ব্যরিস্টার সায়েদুল হক সুমন বাংলানিউজকে জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দেখে নিজের বিবেকের তাগিদ থেকেই তিনি সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখতে পেরে তিনি আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ