সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম সড়কটির বেতবাড়ি খালের উপর সেতু না থাকায় নানা দুর্ভোগে পড়তে হতো। গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় প্রায় ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করে।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর দুপাশে সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। ফলে আগের মতোই খালের পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। অপরদিকে প্রতিদিনই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বেতবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হামিদুল ইসলাম জানান, গত বর্ষা মৌসুমে সেতুটির দুপাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করতে হয়েছে। আবার শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি মাড়িয়ে সলপ রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। এ কারণে সিকিউরিটি মানি ছাড়াও ঠিকাদারের বিল থেকে আরও ১ লাখ টাকা কেটে রাখা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করলে তাদের টাকা দিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এ সড়ক নির্মাণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ