মোমিনুজ্জামান উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে লুৎফর রহমানকে হত্যা করতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুরে ইটভাটায় কাজ করাকে কেন্দ্র করে ভোলাডাঙা গ্রামের লুৎফর রহমানের সঙ্গে মোমিনুজ্জামানের ভাই আব্দুস সালামের কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর পাওয়ার পর লুৎফর রহমানকে হত্যার জন্য সন্ধ্যায় ভোলাডাঙ্গা গ্রামে আসেস মোমিনুজ্জামান। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বাংলানিউজকে জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পুলিশের খাতায় আট মামলার আসামি মোমিনুজ্জামানের নাম রয়েছে। গত বছর উপজেলার মটমুড়া গ্রামের এক ইটভাটায় পুলিশের সঙ্গে মোমিনুজ্জামান ও তার সঙ্গীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে মোমিনুজ্জামান পালিয়ে গেলেও তার তিন সহযোগী মহিবুল ইসলাম, তাজবুল ইসলাম ও তুহিন হক নিহত হন।
২০১৭ সালের ২৭ জুলাই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল নামক স্থানে রাস্তার গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মোমিনের অপর সহযোগী হাসান আলী ওরফে লালন। সেদিনও মোমিন অল্পের জন্য পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পান।
এতোদিন তিনি আত্মগোপনে থেকে এলাকায় অপহরণ, ছিনতাই, বোমাবাজি, ডাকাতি, ইটভাটাগুলোতে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এসআই