শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে তাকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি যশোর সরকারি এমএম কলেজে পড়াশুনার সুবাদে শহরে থেকে এমএসটিপি স্কুলের এক ছাত্রীর বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে জিলা স্কুলের সামনে ওই গৃহশিক্ষক তার মোবাইল ফোনে থাকা প্রশ্নপত্র ছাত্রীকে দেখিয়ে অংক শিখাচ্ছিলেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মনিরুলকে আটক করে জিলা স্কুলের অফিস কক্ষে নিয়ে যান।
জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহিব হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে স্থানীয় জনগণ মনিরুল নামে এক যুবককে আটক করে আমাদের কাছে আনে। আমরা তাকে পুলিশে দিয়েছি।
জিলা স্কুল কেন্দ্রের সচিব আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আজ 'খ' সেটের প্রশ্নপত্রে গণিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, জনগণের হাতে আটক মনিরুল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আটক মনিরুল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, প্রশ্নফাঁসে তার কোনো ভূমিকা নেই। তিনি ছাত্রীর মনোবল বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের সামনে গিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, প্রশ্নপত্র আমার ফেসবুক ওয়ালে কীভাবে এসেছে তা জানি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
ইউজি/এএটি