শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বন বিভাগের উদ্যোগে পুকুর সংস্কারের অজুহাতে উপজেলা অফিস চত্বরের পুকুর ধারে থাকা এসব গাছ কাটা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে বন বিভাগ চত্বরের একটি পুকুর ধারে গাছগুলো বেড়ে ওঠে।
টেন্ডার ছাড়াই এসব গাছ কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। কয়েকজন শ্রমিকও বন কর্মকর্তার নির্দেশে ওই গাছগুলো কাটার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে বিধিসম্মতভাবে গাছগুলো কাটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপস্থিত কর্মরত বন প্রহরী নসরত জামান মৃধা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পুকুর সংস্কারের প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ হেলেপাড়া গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে বিধিসম্মতভাবে গাছের নম্বর দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গাছগুলি কাটা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে একটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেদিন কাটা গাছগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে টেন্ডার করার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বাংলানিউজকে জানান, সরকারি কোনো গাছ কাটার আগে উপজেলায় গাছ কাটা সংক্রান্ত কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি নিয়ে বিধিসম্মতভাবে গাছ কাটতে হয়।
কিন্তু তার উপজেলায় এসব গাছ কাটা সংক্রান্ত কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং বিষয়টি তিনি জানেন না। বন বিভাগ থেকেও তাকে জানানো হয়নি। যদি বন বিভাগ বেআইনিভাবে গাছগুলো কেটে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ