শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন- ৪ এর পেছনে ও শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সামনের অংশের ইউক্যালিপটাস বাগানের অনেকাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে দু'বার ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে আগুন নেভায়।
এ ঘটনায় সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের তিন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হল- জয় কিসপট্টা, আরিফুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি।
এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক বছরে সাতবার বার অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে মূল্যবান কয়েক হাজার গাছপালা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি টাকার মত সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বছরে সাতবার আগুন লাগার পরেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি বহিরাগতদের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে তার কোনো সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধে প্রশাসনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ইভটিজিং, অসামাজিক কার্যকলাপসহ মাদক সেবনের অন্যতম আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে বেরোবি। তারই অংশ হিসেবে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। জীববৈচিত্র্যে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংসের পাঁয়তারায় নেমেছে এসব বহিরাগতরা। ফলে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু, সুন্দর, প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহিব্বুল ইসলাম মুন বাংলানিউজকে বলেন, আটক তিনজনকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবু কালাম ফরিদ-উল ইসলামকে মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত। এখন থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। সাতবার আগুন লাগার ঘটনায় প্রায় কোটি টাকা ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রত্যেকটি ঘটনা খতিয়ে দেখব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এএটি