শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছে ব্রিটেন।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে জনজন উখিয়ার কুতুপালংয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট সেন্টারে যান। সেখানে তিনি আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে যান। সেখানে তিনি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (এইএনএফপিএ) পরিচালিত শিশুবান্ধব কেন্দ্রে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান।
পরে বরিস জনসন রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত ইউএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ (আইওএম) বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোয়া ১২টার দিকে প্লেনযোগে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান। রোহিঙ্গাদের দেখতে নানামুখী এসব কর্মসূচির পর বিকেলেই তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
তার সঙ্গে রয়েছেন বাংলদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম চৌধুরী ও ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ শুরু হলে তা থেকে বাঁচতে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, ওই দমন-পীড়নের মুখে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।
শুরু থেকেই এ রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তৎপর ব্রিটেন। বরিস জনসন বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের দেখে এই অবস্থানই পরিষ্কার করলেন আরেকবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
টিটি/এইচএ/
** রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে গেলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী