বিচার পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে বাংলানিউজের কাছে কথাগুলো বলছিলেন সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির।
গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২, রশিদ লজ অ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়৷ হত্যার ছয় বছর পার হয়ে গেলেও বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার।
সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির বলেন, আমিতো সব কিছুই হারিয়েছি। এখন যদি বিচারটুকুও না পাই তবে কিসের আইন? সরকার যদি ইচ্ছে করে তবেই এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়।
তবে একদিন না একদিন সাগর-রুনি হত্যার বিচার হবে, হয়তো সেদিন আমি থাকবো না –হতাশা নিয়ে বলেন সাগরের মা।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করেন মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমানও। তিনি বলেন, র্যাব তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে কিনা, তা আমরা জানি না। মামলার আলামত (ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও মোবাইল) নষ্ট হয়ে গেছে।
রোমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সঠিক পথে নেই। এ কারণেই চার্জশিট জমা দিতে সময়ক্ষেপণ করছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
‘সাগর-রুনির বাসার পলাতক দারোয়ান এনামুল হক ওরফে হুমায়ুনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এর বছরখানেক পর সাগর-রুনির বাসার দারোয়ান এনামুলকে গ্রেফতার করা হলেও হত্যাকাণ্ডের রহস্যজট খোলেনি। ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামীরা। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালত থেকে ৫৩ বার সময় নিয়েছেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিনিয়ত মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতে ঘটনার আপডেট জানাতে কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এসজেএ/এএম/এসআইএস