‘পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পটি দেশের ৩২টি উপজেলার ২৬২টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হবে। মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ‘হেলথ কার্ড’ করার ক্ষেত্রে গরু-মহিষেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত এলাকার সব গরু-মহিষকে ‘হেলথ কার্ড’র আওতায় আনা হবে। ছয় মাস হোক, এক বছর হোক, টিকা বা কৃমিনাশক ওষুধ দিলে তা কার্ডে উল্লেখ থাকবে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক কোটি পিপিআর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দেওয়া হবে অন্যান্য টিকা-ওষুধও।
অধিদফতর সূত্র বলছে, নির্বাচিত এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পশুর রোগ নিয়ন্ত্রণে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা যাচাই, নমুনা সংগ্রহ এবং ডেটাবেজও তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে পশুর রোগ প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে কাজ করতে সামর্থ্য তৈরি হবে সরকারের।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা জানান, পাইলট এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ‘হেলথ কার্ড’ পাওয়া কোনো পশুর মালিকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে না। তবে পরবর্তী পর্যায়ে দেশব্যাপী যখন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে, তখন কিছু টাকা নেওয়া হবে। টাকা নেওয়ার অংক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ পাইলট প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মোহাম্মদ আইনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, হেলথ কার্ড চালুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গরু-মহিষের ক্ষুরারোগ ও ছাগল-ভেড়ার পিপিআর নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। এসব রোগের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও একটা শৃঙ্খলা আসবো। কোন গরুকে কবে টিকা দিলাম আবার কয় মাস পরে দিতে হবে, সব হিসাব হেলথ কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকবে।
ডিজি আইনুল জানান, পাইলট প্রকল্পে টাকা নেওয়া হবে না। সবই প্রকল্পের আওতায় স্বল্প পরিসরে করা হবে। তবে যখন দেশব্যাপী এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে, তখন কী অংকের সেবামূল্য নেওয়া যায়, তা সভা-সেমিনার করে নির্ধারণ করা হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক আশা করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গবাদি পশুকে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/