রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে কারা সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সৈয়দ ইফতেখার বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদার রায়ের সময় কোর্ট থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
তিনি আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যমগুলোতে কোর্ট থেকে ডিভিশনের আদেশ দেওয়া হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। আজ তার আইনজীবীরা ডিভিশনের আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তা পাঠিয়ে দিয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন সেবিকা প্রথমদিন পুলিশ আমাদের দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জেলকোডে এ ধরনের কিছু না থাকায় আমরা সেবিকাকে ১ ঘণ্টা রেখে ফেরত দিয়েছি। এছাড়া তার খাওয়া-দাওয়া সব কারাগারের খাবার অনুসারেই দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে শুকনা খাবার তার আত্মীয়-স্বজনরা দিয়ে গেলেও গ্রহণ করা হচ্ছে।
চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি বলেন, এখানে একজন ডাক্তার ও একজন নার্স চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। যদি প্রয়োজন মনে করা হয় বা জরুরি হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সহায়তা নেওয়া হবে। আর প্রথম শ্রেণীর কারাগারের ক্ষেত্রে কাশিমপুর নারী কারাগার তার জন্য ভালো হতো। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়া ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে তাকে নেওয়া হবে না। এখানেই সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। যেহেতু সরকার কেন্দ্রীয় কারাগারকে এখনও পতিত্যক্ত ঘোষণা করেনি তাই এখানেই সব সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এমএএম/এএ