কারাগার এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কারাগারের ২ নম্বর গেটের বিপরীতে সড়কে বসানো হয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাজার করতে বের হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দা নাজমা আক্তার। বাজার থেকে ফিরে পুলিশের ব্যারিকেডটি পার হতে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। পরে নিজের বাড়ি দেখিয়ে, বাড়ির হোল্ডিং নম্বর বলে সামনে এগোনোর অনুমতি পান নাজমা। এসময় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এদিক-ওদিক না তাকিয়ে বাম পাশ দিয়ে যাবেন। ’
নাজমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রাখার পর আমরা নিজেদের বাড়ি-ঘরে ঢুকতেই জেরবার হচ্ছি। বাসা থেকে বের হতে গেলে নানা জবাবদিহিতে পড়তে হয়। এ কারণে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আমরা ঘর থেকে বের হই না। ’
কারাগারের ২ নম্বর গেটের পাশেই আনোয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এখানকার শিক্ষার্থীরাও বলেছেন পুরনো ভোগান্তি ফিরে আসার কথা।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শুভ ও শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্কুল ড্রেস ছাড়া এই এলাকায় প্রবেশ যায় না। আমাদের স্কুলে কাজ থাকলেও যাওয়া যায় না। আর আমাদের অভিভাবকরা তো যেতেই পারেন না। আমরা খুব দ্রুত এ অবস্থার অবসান চাই। ’
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির কথা বলছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাদের দোকান বন্ধ খালেদা জিয়াকে কারাগারে ঢোকানোর একদিন আগ থেকেই। তেমনই একজন আসবাবপত্রের ব্যবসায়ী নুরুল আমিন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক অর্ডার জমা হয়ে আছে। কিন্তু আমরা সময়মতো তা অর্ডারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি না। এদিকে অর্ডারদাতারাও বারবার তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। এ অবস্থার কবে অবসান হবে তাও আমরা জানি না। আর কাজ ছাড়া আয়-উপার্জন কিভাবে করবো, কিভাবে বাঁচবো তাও জানি না। ’
ব্যারিকেডটির কারণে রাস্তাটিতে যানজটের মাত্রা বেড়ে আগের মতো হয়ে গেছে। পুরান ঢাকার বিখ্যাত চকবাজারে যাওয়ার মূল রাস্তা ছিল কারাগারের সামনের রাস্তাটি। ব্যারিকেডের কারণে চকবাজারে আসা মানুষদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। অনেকটা ঘুরে তাদের যেতে হচ্ছে গন্তব্য দোকানে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরাও হাঁপিয়ে উঠছেন লেগে থাকা যানজট নিরসনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এমএএম/এইচএ/