ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুর ও রংপুর সিটি করপোরেশন পাবে মহানগর পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
গাজীপুর ও রংপুর সিটি করপোরেশন পাবে মহানগর পুলিশ

সংসদ ভবন থেকে: অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার মতো গাজীপুর ও রংপুরেও মহানগর পুলিশ দিতে দু’টি পৃথক বিল উত্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮ এবং রংপুর মহানগরী পুলিশ আইন-২০১৮ নামে দু’টি বিলই উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

পরে বিল দু’টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয় অধিকতর যাচাই-বাছায়ের জন্য। যাচাই-বাছাই করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিলের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।


 
সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করার পরই বিলটি পাস হবে। আর বিল পাস হলেই গাজীপুর ও রংপুর সিটি করপোরেশনে মহানগর পুলিশ দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর বিল দু’টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

গাজীপুর ও রংপুর মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুত কার্যকর করার লক্ষ্যে বিলটি আনা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনে সাজা বাড়লো দুই বছর 

বিলটি পাস হলে ‘পুলিশ কোন কোন অপরাধের জন্য কী দণ্ড দিতে পারবে’ তা উল্লেখ রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে- পুলিশ কমিশনারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কোন অধস্তন কর্মকর্তাকে অবাধ্যতা, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি, কর্তব্যে অবহেলা বা কর্তব্য পালনে শিথিলতা অথবা অন্য কোনো কারণে কর্তব্য পালনে অযোগ্য হলে দোষী সাব্যস্ত হবেন। সেক্ষেত্রে তার শাস্তি হবে চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারণ, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বন্ধকরণ, অনূর্ধ্ব এক বছরের জ্যেষ্ঠতা বাজেয়াপ্তকরণ, বেতন বৃদ্ধি বন্ধসহ বিভিন্ন শাস্তি।
 
বিলে পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব-কর্তব্য প্রসঙ্গে বলা হয়েছে রাস্তাঘাটে দৈহিকভাবে অক্ষম ও নিরাশ্রম ব্যক্তিকে যতদূর সম্ভব সহায়তা দেওয়া এবং কোনো ব্যক্তি তার কাছে বিপদজনক, মাতাল বা নিজের নিরাপত্তার প্রতি অমনোযোগী ও উন্মাদ বিবেচিত হলে ওই ব্যক্তির দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে। তল্লাশি করার সময় দুর্ব্যবহার পরিহার করার কথা বলা আছে।
 
রাস্তায় পুলিশের কর্তব্য হবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, রাস্তায় অবৈধ নির্মাণরোধ করা, রাস্তায় বা রাস্তার কাছে কেউ যেন বিধি ভঙ্গ না করে সেজন্য চেষ্টা করবে পুলিশ। রাস্তায়, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জায়গায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা। নারীদের উত্ত্যক্ত করার অপরাধেও এ আইনে দণ্ড নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

২০১২ সালে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়া রংপুর নগরীর আয়তন ২০৩ বর্গ কিলোমিটার; জনসংখ্যা সাত লাখ ৯৫ হাজার। আর ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন হওয়া গাজীপুরের প্রায় ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। দুই সিটি করপোরেশন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা অধিকতর উন্নয়ন, পুলিশি সেবা ও জননিরাপত্তা আরও জোরদার করাই এই আইনের উদ্দেশ্য।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতায় থাকবে জয়দেবপুর থানার কাউলিতয়া, বাসন, গাছা, পূবাইল, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড। এছাড়া টঙ্গী থানা (সম্পূর্ণ)।
 
আর রংপুর সিটি করপোরেশনের আওতায় থাকবে কোতায়ালি থানার রাজেন্দ্রপুর, তপোধন, উত্তম,পশুরাম, দর্শনা, তামপাট, সাতগারা ইউনিয়ন ও রংপুর পৌরসভা। এছাড়া পীরগাছা থানার কল্যাণী ইউনিয়ন (আংশিক) কাউনিয়া থানার গারাগাছা পৌরসভা (আংশিক এবং সারাই ইউনিয়ন (আংশিক)।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।