রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিএ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিআরটিএ’র সচিব শওকত আলী বাংলানিউজকে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে রাইড শেয়ারিং নীতিমালার ওপর কিছু পর্যবেক্ষণ পাঠানো হয়েছিলো।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিআরটিএ’র উপ পরিচালক মাহবুব এ রব্বানী বলেন, ‘মোটরসাইকেলের ভাড়ার বিষয় নিয়ে নীতিমালায় কিছু বলা হয় নি। শুধু প্রাইভেটকোরের ভাড়া নিয়ে বলা হয়েছে।
কেন মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে ভাড়ার নির্দেশনা নেই এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে পাস হয়ে গেছে। ’ আর রাইড শেয়ারিং অ্যাপস প্রতিষ্ঠান বা স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক না করে বরং ভালো হয়েছে বলে মনে করেন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির এ সদস্য।
যদিও অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালার কিছু অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ও মোটরযান মালিকের যে চুক্তি থাকবে, তা শেষ করতে হলে এক মাস আগে নোটিশ করতে হবে- এমন অদ্ভুত বিষয় নীতিমালায় আছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেন নি।
সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গেজেট হওয়া বাকি রয়েছে। গেজেটের সময় সরকার একটি তারিখ ঘোষণা দিলেই সেদিন থেকে এ নীতিমালার বাস্তবায়ন শুরু। তখন অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করলে বিআরটিএ যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেবে।
ঢাকায় অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিবহন সেবার বয়স দেড় বছর। ২০১৬ সালের ৭ মে বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং ঢাকায় শুরু করে শেয়ার এ মোটরসাইকেল ‘স্যাম’। এরপর একই বছরের ২২ নভেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে বড় অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার চালু হয়। তখনই অনুমোদিত হবে রাইড শেয়ারিং সেবা।
তারপর ১৫ ডিসেম্বর অ্যাপসভিত্তিক মোটরসাইকেল সেবা দেওয়া শুরু করে ‘পাঠাও’। উবার, স্যাম, পাঠাও ছাড়াও প্রায় ১০টি অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা রাজধানীতে চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এসএ/ওএইচ/