উত্তরে মাক্কুশাহ মাজার মোড় থেকে দক্ষিণে বেগমবাজার মোড় ও চকবাজার মোড় পর্যন্ত রাস্তায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
চারদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কিছু দোকান খুললেও ব্যবসায়ীরা বলেন, দোকান খুলে লাভ কী। বেচাকেনা নেই।
সিদ্দিক ফার্নিচারের ম্যানেজার কাজী এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মানুষ, ভ্যান, রিকশা, গাড়ি কিছু এদিকে আসতে পারছে না। দোকান খুলে কী করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পথচারী বাংলানিউজকে বলেন, ওনাকে (খালেদা জিয়া) এখানে না রাখলেও পারতো। পুরো এলাকা ও চকবাজারের ব্যবসা নাজিম উদ্দিন রোডের ওপর নির্ভরশীল। এই রোডটি বন্ধ রাখায় ব্যবসার অনেক ক্ষতি হবে।
গ্রামীণ ফার্নিচারের মালিক সুলতান বলেন, গত ৯ বছর এখানে ব্যবসা করি, টানা চারদিন কখনো রাস্তা বন্ধ রাখতে দেখিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাজিম উদ্দিন রোডে অর্ধশত ফার্নিচারের দোকানসহ প্রায় ১শ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে যারা কাজ করেন মালিকদের পাশাপাশি তারাও ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া যারা ভ্যানে ফার্নিচার ডেলিভারি দেন, তারাও কষ্টে আছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএইচ/এএ