টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে রূপাকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ রায় দেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।
রায়ে বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুরকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার পরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন হাফিজুর। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন পপি প্রমাণিক ও ভাতিজি ময়না।
এসময় হাফিজুর ও পপি বাংলানিউজকে জানান, তারা এ রায়ে অনেক খুশি। তবে রায় যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয় সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
জাকিয়া সুলতানা রূপা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের আসানবাড়ী গ্রামের মৃত জেলহাজ প্রামাণিকের মেয়ে।
এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসানবাড়ী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যেভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে তাতে আদালত আমাদের প্রতি ন্যায় বিচার করবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল আমাদের। আমরা আমাদের গ্রামের মেধাবী একজন ছাত্রীকে হারিয়েছে। তাকে আর কখনোই ফিরে পাবো না। কিন্তু ওইসব নরপিশাচদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে স্বান্তনা পেতে চাই।
বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে শুধু আসানবাড়ি নয় পুরো তাড়াশ উপজেলাবাসী সন্তষ্ট। নারীর নিরাপত্তার জন্য এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যতটা দ্রুত সময়ের মধ্য বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে তেমনভাবেই স্বল্প সময়ের মধ্যে এ রায় কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
**রূপা ধর্ষণ ও হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এনটি